ঢাকা,শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

চট্টগ্রাম বিভাগকে ভিক্ষুকমুক্ত করার উদ্যোগ

CTG Lচট্রগ্রাম প্রতিনিধি :::

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিসের উদ্যোগে বিভাগের সকল জেলা ও উপজেলাকে ‘ভিক্ষুকমুক্ত’ করতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে ভিক্ষুকদের একটি পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। তাদেরকে কিভাবে ভিক্ষাবৃত্তি পেশা থেকে সরিয়ে পুনর্বাসন করা যায় সে লক্ষ্যে একটি সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। ভিক্ষুকদের ডাটাবেইজ তৈরি করতে চলতি মাসের মধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিস কর্তৃক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘ভিক্ষুকমুক্তকরণ কার্যক্রম’ সংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ রুহুল আমীন এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকারের বহুমুখী কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সর্বক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে সরকার অর্থ বিনিয়োগ করছে। এক্ষেত্রে আমাদের অর্জিত সাফল্যও অনেক। পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি সম্প্রসারণ অগ্রাধিকার প্রাপ্য। সবকিছু বিবেচনায় এনে দেশে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষণ, পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আগামী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশকে ভিক্ষুকমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ‘দেশকে ভিক্ষুক মুক্তকরণ’ বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।

আগামী মে মাসে এ সংক্রান্তে আরও একটি সভা করে ফান্ড তৈরির মাধ্যমে ভিক্ষুকদের পরিসংখ্যান সংগ্রহ কর্মসূচী প্রণয়ন ও জুন মাস থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, চেম্বার, সমাজসেবা অধিদফতর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বিআরডিবি, আইনজীবী সমিতি, বিভিন্ন এনজিও সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিভাগকে ভিক্ষুক মুক্ত করা হবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সৈয়দা সারোয়ার জাহান, বিভাগীয় পরিচালক (স্থানীয় সরকার) দীপক চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন, বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুকুর রহমান সিকদার, জেলা পরিষদের সচিব সাব্বির ইকবাল, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বন্দনা দাশ, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অঞ্জনা ভট্টাচার্য, জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান, বিআরডিবি’র উপ-পরিচালক মোর্শেদ আলম, চিটাগাং চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, চসিক’র কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু, জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ইলমা’র প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু, সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, বিভাগীয় শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার পাল, পসার প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম, ঘাসফুল প্রতিনিধি মো. নাসির উদ্দিন প্রমুখ। সভায় বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্র্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: